ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত-৯

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া ::

পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জন নারীও রয়েছে। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে স্থানীয় সুত্র নিশ্চিত করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দু’পক্ষের উত্তেজনা প্রশমিত করতে নেতৃত্বস্থানীয় গ্রামবাসীরা নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে। ১৯ নভেম্বর (সোমবার) দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বুধামাঝিরঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই এলাকার হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রুমানা আক্তার(৩০), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রবিউল আলম সওদাগর (২৯), তার মা শাহানাজ বেগম (৫০), রিদুয়ানের স্ত্রী রুমানা আক্তার রিমু (২৮), মৃত তজু মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫৫), মৃত শাহ আলমের ছেলে রেজাউল করিম(৪২), তার ভাই রেজাউল আজিম (৩৫), জহিরুল আলমের ছেলে বাহাদুর (৪০) ও মোহাম্মদ শরীফের স্ত্রী কুলছুমা বেগম (৩৭)। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, ২৬ শতক জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ওই এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে সাজ্জাদ নুর গং ও মৃত তজু মিয়ার ছেলে জামাল উদ্দিন, দেলোয়ার গংদের বিরোধ চলছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে বিরোধীয় জমি থেকে পাকা ফসল কর্তন হয়েছে। এ নিয়ে পরদিন দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়েছে। বুধামাঝিরঘোনা বেড়িবাঁধের রবি আলমের দোকানে হাতাহাতি হয়। এর সুত্র ধরে উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। উভয়পক্ষ ধারালো দা, কিরিচ ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় জামাল উদ্দিন গংদের এক নারীসহ ৪ জন আহত হয়। অপরদিকে একই সংঘর্ষে সাজ্জাদ নুর গংদের ৩ নারী, ৫ জনসহ উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী নেওয়াজ শরীফ, দিদারুল ইসলাম, ইয়াসমিন আক্তার, ছেনুয়ারা বেগম জানায়, রাতে ফসল কাটা নিয়ে বিরোধের সুত্রপাত হয়েছে। রেজাউল আজিম গং দুপুরের দিকে রবিউল প্রকাশ মিয়াকে দোকানে এসে অপহরন চেষ্টা চালায়। তাকে টানা হেচড়াঁ করে বাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সাজ্জাদ গংদের পক্ষে প্রতিরোধ হয়েছে। এতে ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। তারা দোকান ভাংচুর ও টাকা পয়সা লুট করে। অপরদিকে এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীর অপর একটি সুত্র জানায়, সাজ্জাদ নুর গং এ সংঘর্ষের জন্য দায়ী। তারা ৬০/৭০ জনের ভাড়াটে লোকজন সহ জামাল উদ্দিন গংদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা ভাংচুরসহ হামলাসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। রেজাউল করিম সৈনিকলীগ বারবাকিয়া ইউনিয়নের সভাপতি। সাজ্জাদ নুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র নেতা। ৩ টি নাশকতা মামলার আসামী। ওই দিন তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা সৈনিকলীগ নেতার বাড়ি আক্রমন করে। এদের উপর নির্লজ্জ হামলা চালায়। সৈনিকলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম হিরু জানায়, আমরা তাৎক্ষনিক ওই স্থানে ছুটে গিয়েছিলাম। যুবদলের এ দুর্ধর্ষ ক্যাডার আমাদের নেতার বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছি। প্রয়োজনে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূইয়া জানায়, বিষয়টি অবগত হয়েছি। পুলিশ পাঠিয়েছি। কোন পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

##############

পেকুয়ায় বিল বোর্ড, পোষ্টার উচ্ছেদ করল প্রশাসন

নাজিম উদ্দিন, পেকুয়া:

পেকুয়ায় বিলবোর্ড, পোষ্টার অপসারণ কাজে নামল প্রশাসন। একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তফশিল ঘোষিত হয়েছে। নির্বাচত কমিশন অবাধ ও সুষ্টু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সারাদেশে সব রাজনৈতিক দল সমুহের আগাম নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার উপর বিধি নিষেধ করে। এর ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী এ অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। পেকুয়ায় ১৮ নভেম্বর (রবিবার) স্থানীয় প্রশাসন বিলবোর্ড, ব্যানার, পোষ্টার অপসারন অভিযান পরিচালনা করে। ওই দিন দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান বাস্তবায়ন হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সালমা ফেরদৌস ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেয়। পেকুয়া থানার পুলিশ ফোর্সসহ ভ্রাম্যমান আদালত ওই দিন পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে এ অভিযান জোরদার করে। এ সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলসমুহের প্রচার প্রচারনা সম্বলিত দলীয় প্রার্থীদের আগাম পোষ্টার, বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনসহ নির্বাচনী কার্যক্রমে আগাম প্রচারসমুহ উচ্ছেদ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষিত হওয়ার পূর্বে যে সব প্রচার প্রচারনা চালানো ছিল নির্বাচনী আইনে এ গুলোকে অবৈধ করা হয়েছে। প্রচার-প্রচারনার নির্দিষ্ট সময় সীমার আগে এ সব কড়াকড়ি করা হবে। সারাদেশে এ অভিযান চলমান আছে। একইভাবে পেকুয়ায়ও এর অংশ হিসেবে এ অভিযান চলমান থাকবে।

 

পাঠকের মতামত: